প্রকাশিত: ১৮/১২/২০১৭ ৯:২১ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৯:২৫ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করার কথা৷ আর সেই চুক্তি অনুযায়ী ২২ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো শুরু করতে চায় বাংলাদেশ৷ চুক্তি হয়েছিল গত ২৩ নভেম্বর৷

বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হয় গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নেপোদিতে৷ সেই চুক্তিতে বলা হয়, তিন সপ্তাহের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠন এবং দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া শুরু করবে মিয়ানমার৷ তবে তারা কত দিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করবে তা বলা হয়নি চুক্তিতে৷ শুধু বলা হয়েছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফেরত নেয়া হবে৷

তিন সপ্তাহের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করার কথা হলেও তা হয়নি৷ কমিটি’র তালিকা হস্তান্তর হয়েছে মাত্র৷ তাদের ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ চূড়ান্ত হয়নি৷
১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় আসছেন মিয়ানমারে পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব বৈঠকে বসে কমিটি এবং টার্মস অব রেফারেন্স চূড়ান্ত করবেন৷

এ নিয়ে রোববার বিকালে ঢাকায় পরারাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের টার্গেট হল চুক্তি অনুযায়ী দুই মাসের মধ্যেই অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো শুরু করা৷ আর যেহেতু বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ‘ফোর্সড রিপ্যাট্রিয়েশন’ এর বিরোধী , এই এই সময়ের আগেই মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা এবং অধিকারের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে হবে৷

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের খোঁজ রাখছেন কূটনৈতিক প্রতিবেদক শেখ শাহরিয়ার জামান৷ তিনি জানিয়েছেন, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের টার্মস অব রেফারেন্সে অনেক খুঁটিনাটি বিষয় আছে৷ তবে একটি বিষয় চূড়ান্ত যে, ওয়ার্কিং গ্রুপে দুই দেশ থেকেই সচিব পদমর্যাদার একজন করে কর্মকর্তা নেতৃত্ব দেবে৷ এছাড়া এই কমিটি কোথায় যাবে, কোন সীমান্ত দিয়ে যাবে, কতদিনে তাদের কাজ শেষ হবে এসব কিছু চূড়ান্ত হবে৷ তবে বাংলাদেশ জোর দিচ্ছে নির্ধারিত দুই মাসের মধ্যেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে৷

বর্তমানে মিয়ানমার নামে পরিচিত দেশে ১২ শতক থেকে মুসলমানরা বাস করছে বলে দাবি অনেক ইতিহাসবিদ ও রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন বলছে, মিয়ানমার যখন ব্রিটিশ শাসনের অধীন (১৮২৪-১৯৪৮) ছিল তখন বর্তমানের ভারত ও বাংলাদেশ থেকে অনেকে শ্রমিক হিসেবে সেখানে গিয়েছিল৷ তবে তারা যেহেতু ব্রিটিশ আমলে এসেছে তাই স্বাধীনতার পর মিয়ানমার তাদের অবৈধ হিসেবে গণ্য করে৷

এদিকে অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এক্সচেঞ্জের জরিপ থেকে জানা গেছে, রাখাইনে পরিস্থিতির উন্নতি হলে ৭৮ শতাংশ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়৷ শতকরা ১৬ ভাগ রোহিঙ্গা ফেরত যাওয়ার বিপক্ষে৷ আর শতকরা ৬ ভাগ রোহিঙ্গা কোনো শর্ত ছাড়াই মিয়ানমারে ফেরত যেতে চায়৷

মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক ডিফেন্স এটাশে মেজর জেনারেল (অব.) শহীদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের মত মিয়ানমারও দ্রুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়৷ দু’দিন আগে মিয়ানমারে এক মন্ত্রী একথা বলেছেনও৷ কিন্তু রোহিঙ্গাদের নিয়ে কোথায় রাখা হবে? তাদের ঘরবাড়িতো পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে৷ ১২টি আন্তর্জাতিক এনজিও বলেছে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে তারা নেই৷ তারা চুক্তি রিভাইস করার কথা বলছে৷ তারা এখানে অর্থ দেবে না৷ তাহলে টাকা আসবে কোথা থেকে? আর সেখানে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা কে দেবে?’

পাঠকের মতামত

ইউএনওর ‘স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ’, পদ হারালেন জামায়াত নেতা

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মডেল কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং উপজেলা জামায়াতের ...

জামিন নামঞ্জুর,ঘুমধুমের ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

চট্টগ্রামের একটি রাজনৈতিক হত্যা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ...

বিসিআরসি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড- ২০২৫ এ ভূষিত হলেন পুলিশ সুপার মো: নাইমুল হক পিপিএম

পর্যটন খাতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ নাইমুল হক পিপিএম ময়মনসিংহ ...